,

কাশিমপুরে জমি জবর-দখলের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন:

কাশিমপুর গাজীপুর, (এবিসি ওয়ার্ল্ড নিউজ ২৪.কম) :

নিজ নামে ত্রয়-কৃত জমি ও ঘড়-বাড়ি জবর-দখলের প্রতিবাদ ও প্রতিকার চেয়ে গতকাল বিকেলে গাজীপুরের কাশিমপুর শৈলডুবীতে নিজ অফিস কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করলেন ভুক্তভোগী নারী শিক্ষিকা মোসলেমা বেগম।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন তার স্বামী আব্দুল জলিল চৌধুরী, ভাসুর আবু সিদ্দিক, ভাগিনা শাহজাহান-সহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
এসময় আবু সিদ্দিক বলেন, জমির সম্পূর্ণ কাগজ-পত্র যাচাই-বাছাইয়ের পরে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী মোসলেমা বেগমের নামে খরিদ করা হয়েছে। বেআইনিভাবে জমি ও বাড়িঘড় জোরপূর্বক দখলে রাখা ভাগিনাদের ওজর আপত্তি বিরোধ সৃষ্টি সম্পূর্ণ অহেতুক ও অনাকাঙ্ক্ষিত।
জানা গেছে ২০১৬ ইং সনে দাতা মোঃ মহি মন্ডলের সাংসারিক বৈধ কাজে নগদ টাকার প্রয়োজন হলে জমি বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে স্থানীয় ক্রেতা শিক্ষিকা মোসলেমা বেগমকে প্রস্তাব করেন। উভয়ের মধ্যে দরকষাকষির একপর্যায়ে গাজীপুরের সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে ৩১ শতাংশ জমির সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করে শিক্ষিকা মোসলেমা বেগমের নামে দলিল করেন সেসময়। যাহা কাশিমপুর থানাধীন গোবিন্দবাড়ী মৌজা-স্থিত এস এ ৬৭৬ নং খতিয়ানে ২৮০২ নং দাগ ও আর এস ৭৪০ নং খতিয়ানে ১৬৫৯ ও ১৬৬০ নং দাগে ক্রয়-কৃত জমি ৩১ শতাংশ ।
এযাবত ভুক্তভোগী নারী ক্রয় সূত্রে মালিক হয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক কর খাজনা মিউটেশন ও বিডিএস রেকর্ড-ভুক্ত হয়ে বিনা বাঁধায়, অন্যের বিনা প্ররোচনায় বাড়িঘর নির্মাণ করে পরম সুখে ভোগদখল করে আসছিলেন।
উল্লেখ্য যে, ২০২১ ইং সনে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানাধীন ব্রাক ব্যাংক ভল্লীবদ্বর বাজার শাখা হতে সাংসারিক বৈধ কাজে খরচের জন্য উক্ত জমি মর্ঘেষ রেখে ঋণ ও গ্রহণ করেন তিনি।
ভুক্তভোগী নারী সংবাদ সম্মেলনে জানান ৪/৫ বছর পূর্বে তার অসহায় গৃহহীন ভাগিনা নণোদের ছেলে শামীম ও শাহীনকে বাড়ি দেখভাল করার দায়িত্ব দেন। হঠাৎ করে গত বছর ২০২২ ইং’র শেষের দিকে অবৈধ একটি দলিল বের করে নিজেদেরকে মালিক হিসেবে দাবি করেন ভাগিনারা। অবৈধ দখল-কারীরা আমি ও আমার পরিবারবর্গকে ও বাড়িতে প্রবেশে ও বাধা দেয়।এমনকি আমার পরিবারের সকলকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেয় দখল-কারীরা।
নিরুপায় হয়ে প্রথমে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর, কাশিমপুর থানায় জি-ডি ও পরবর্তীতে গাজীপুর বিজ্ঞ আদালতে ১৪৪ ধারা মামলা দায়ের করেন শিক্ষিকা। তার নির্মিত স্থাপনার ওপর জোরপূর্বক স্থাপনা তৈরি করতে গেলে জাতীয় সেবা ট্রিপল নাইনে ফোন দিয়ে পুলিশের সহযোগিতা নেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মীমাংসা না করে স্থাপনা তৈরিতে বাধা প্রদান করেন। তবে পুলিশ চলে গেলে পুনরায় স্থাপনা তৈরীর কাজ চালিয়ে যান দখল-কারীরা।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী শিক্ষিকা মোসলেমা বেগম ও তার স্বামী আব্দুল জলিল চৌধুরী বড় ভাই আবু সিদ্দিকসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে অনতিবিলম্বে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দখলদারদের কবল হতে জমি ও ঘরবাড়ি মুক্ত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।


More News Of This Category